মোট পৃষ্ঠাদর্শন

সোমবার, ১৬ মে, ২০১১

বাঙালীর প্রাত্যহিক জ়ীবনে নান্দনিকতার ছোঁয়া ও রবীন্দ্রনাথ


আজ প্রায় একশত বছরের অধিক সময়কাল বাঙালীর প্রাত্যহিক জ়ীবনের ছন্দ কেমন হবে তার তালটি রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি ও তার জ়ীবন যাপনের ধরন দিয়ে গভীরভাবে প্রভাবিত হয়ে চলেছে। আমাদের জনসাধারণের দৈনন্দিন জীবনে যখন প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার নান্দনিকতার ধারাটি প্রায় শুষ্ক হয়ে এসেছিল তখন প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সভ্যতার মন্থনে অনেক হলাহলের সাথে ‘রবীন্দ্রনাথ’ নামক অমৃত কুম্ভটি এসেছিল। আজ তাঁর সার্ধশতবর্ষের জন্মদিনে প্রণাম জানাতে গিয়ে, কেবলই মনে হয় তিনি আমাদের প্রাত্যহিক জ়ীবনের প্রতিটি  কর্মকে কেমন নান্দনিকতার ছোঁয়া দিয়ে গেছেন। ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থে যখন অশীতিপর কবির বাঙালী রমনীর পোশাক নিয়ে স্মৃতিচারণের কথা পড়ি, তখন বুঝি তার দৈনন্দিনে নান্দনিকতার পরশ নিয়ে গভীর ভাবনা। তাঁর শান্তিনিকেতন আশ্রমে বিভিন্ন উসবে গানে, কবিতায়, আলিম্পনের সজ্জায় বা  উসবে মাতোয়ারা আশ্রমবাসীর অঙ্গসজ্জায় তিনি আমাদের শিখিয়েছিলেন কেমন হবে আলোকিত, সভ্য বাঙালীর উসব প্রাঙ্গন – যেখানে  সমগ্র বিশ্ব এসে মিশবে।তাঁর আশ্রম প্রাঙ্গনের বাসগৃহগুলির গৃহসজ্জা আমাদের শিখিয়েছে  জাঁকজমক নয় নান্দনিকতার বোধ দিয়ে অতিসাধারণ, সহজলভ্য বস্তু দিয়ে নির্মিত হস্তশিল্প দিয়ে অন্দরসজ্জা করতে। একটু খেয়াল করলে চোখে পড়ে বাঙালী শিশুর নামকরণে আজও রাবীন্দ্রিক নান্দনিকতার স্পর্শ। অবসরের বেতের চেয়ারটিতে হেলান দিয়ে কফির কাপে চুমুক দেওয়ার সময়ও আমরা আধুনিক বাঙালী যে নান্দনিকতার সন্ধান করি বা অফিস যেতে যে ঝোলা ব্যাগটি কাঁধে নিই কিংবা দেওয়ালে যে মোম বাটিকের ছবি লাগাই তা তাঁর জ়ীবনভর নান্দনিকতার সাথে যাপনের সাক্ষ্য আর আমাদের দিয়ে যাওয়া উত্তরাধিকার।

বৃহস্পতিবার, ৫ মে, ২০১১

বইয়ের কথা

সম্প্রতি অন্নদাশঙ্কর রায়ের পথে প্রবাসে বইটি পড়তে পড়তে ভারী অবাক হয়েছি। সেই সময়কালের ইউরোপের সমাজ জীবনের যে চিত্র লেখক এঁকেছেন তা আজকের ভারতবর্ষের নগরজ়ীবনের প্রেক্ষাপটে কি ভীষণ প্রাসঙ্গিক, যেন ১৯২৭-১৯২৯ এর লন্ডনের জীবন প্রবাহ এসে মিশেছে একবিংশের কলকাতায়।সভ্যতার সোপানগুলি কাল নির্বিশেষে একই রকম তার আপন বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে।