মোট পৃষ্ঠাদর্শন

শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০১৬

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ১২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ও তাঁর স্বপ্ন

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ১২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ও তাঁর স্বপ্ন
আজ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ১২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী, ১২৫ বছর পরে আমার জানতে ইচ্ছা করে তিনি কী সত্যিই বিস্মৃত অতীত নাকি তাঁর স্বপ্নেরা নিঃশব্দে পাখা মেলেছে আমাদের রোজকার জীবনে  আমাদের অজান্তে ।
 জীবনের অপরাহ্নে, আজীবন সংগ্রামের  শেষে  আপাত ব্যর্থতার তীব্র গ্লানি তাঁকে অভিমানী করেছিল, বেদনাহত হয়েছিলেন। প্রিয় বঙ্গভূমি ছেড়ে তিনি শেষ ১৮ বৎসরের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন কর্মাটারে। কিন্তু তিনি যদি সত্যিই ব্যর্থ হতেন তবে মাত্র দেড়শো বছরের ব্যবধানে কী আমাদের মেয়েদের জীবনে এতটা পরিবর্তন আসত। আজ আমরা মেয়েরা যে শিক্ষার, কর্মের, স্বাধীন নাগরিকত্বের অধিকার অর্জন করেছি সে তো  তাঁরই স্বপ্নপূরণ। কল্যানকামী রাষ্টব্যবস্থা, প্রান্তিক মানুষের খাদ্য,স্বাস্থ্য, শিক্ষার অধিকারের লড়াই তো তাঁরই সংগ্রামের উত্তরাধিকার। জ্ঞান, ত্যাগ, সেবার মন্ত্রে দীক্ষা দিতে - ধর্ম, বর্ণ,জাতির ঊর্দ্ধে শিক্ষাকে স্থাপন করতে ১৮৭২ খ্রীষ্টাব্দে তিনি যখন মেট্রোপলিটান কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন তখন তা ছিল অলীক স্বপ্ন। আজ তা বাস্তব। এখনও অনেক পথ বাকি কিন্তু যে মহান মনুষ্যত্বের বীজ তিনি বপন করে গেছেন তা অমর – মৃত্যুহীন, সততপ্রবাহমান এক প্রাণধারা। 

বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬

বসন্ত ও নাগরিক জীবন

আমি একজন নগরবাসী, আমার জীবন পরিচালিত হয় ক্যালেন্ডারের তারিখ অনুযায়ী।  সেই অনুসারে আজ বসন্সত উৎসা, দোল কিন্তু আমার সাথে বসন্তের তো দেখা হয়নি। তবে সে কী আসেনি? এসেছে দেখা হয়নি। কেমন করে হবে - দখিন হাওয়া, পলাশ, কৃষঞ্চূড়া, কোকিল, চাঁদের আলো, গুনগুনিয়ে ওঠা গানের কলি...  সব কেমন বিস্মৃত অতীত। প্রকৃতির সাথে সন্নগতহীন সেই বসন্ত ঊৎসবের ডালি তবে কী দিয়ে সাজানো -  আবিরে, পলাশের মালায়, প্রথা অনুযায়ী পোষাকে, গানে -  যা অনেক আগেই ছুটি নিয়েছে আমাদের রোজকার জীবন থেকে।

 নাগরিক জীবন কী তবে বসন্তহীন? আতিশয্যের খোলস থাকলেও অন্তঃসারশূণ্য। প্রকৃতির সাথে মিলন না হলে জীবন রঙিন হবে কেমন করে? হয়তো নাগরিক আমার মন অপেক্ষা করছে কোন বসন্তের ব্রজ নির্ঘোষের।