মোট পৃষ্ঠাদর্শন

মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০২০

ভিড়তন্ত্র

ভিড় - নামহীন মানুষের জটলা জনবহুল এলাকায় যেকোনো সময় জড়ো হয় কারনে, অকারনে। যুক্তিপূর্ন আলোচনার চাইতে গুজবেই ভিড়ের অনেক বেশি আস্থা। অনেক সময়ই এই ভিড় উন্মত্ত জনতায় পরিনত হয় কোনো কারন ছাড়াই। এমন নয় যে শুধু লেখাপড়া না জানা লোকেরাই বা কম লেখাপড়া জানা মানুষেই ভিড় তৈরী করে, শিক্ষিত মানুষও সামিল হয় নির্দ্বিধায়। ভিড়ের মূল আনন্দ নিপীড়নের তা সে লোকালয়ে ঢুকে আসা বন্য জন্তুই হোক বা সন্দেহভাজন ব্যক্তি বিশেষ। সভ্যতার আদিকাল থেকেই এই ভিড়তন্ত্র খুব বলশালী। কখনো কোনো মহিলাকে ডাইনি সন্দেহে তো কখনো পথভোলা ভবঘুরেকে ছেলেধরা সন্দেহে পিঠিয়ে মারে। এই ভিড় যেকোনো নিরীহ বোকাসোকা মানুষকেও নৃশংস খুনী করে তোলে, ভিড় জানে তার অবয়বহীনতা তাকে শাস্তি থেকে রক্ষা করবে। এই ভিড় যখন ধর্মবিদ্বেষ বা জাতি বিদ্বেষের রসদ পায় তখন সে জাঁকিয়ে বসে সমাজে আর দাবি করতে থাকে ভিড়ের উৎপাত হল সমাজের স্বতঃস্ফুর্ত বহিঃপ্রকাশ। এখন সোশাল মিডিয়াকে ভিড়তন্ত্র ব্যবহার করতে শুরু করেছে তাদের নৃশংস নিপীড়নের দর্শক বৃদ্ধি করতে, আরো ভিড় তৈরীতে। নানা স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নিজেদের উদ্দেশ্যে এই ভিড়ের উন্মত্তাকে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। কিন্তু এখন  সময় হয়েছে ভিড়তন্ত্রকে নিয়ন্ত্রন করার নয়তো এই ভিড়তন্ত্র আমাদের নিয়ন্ত্রন করবে। আমরা আইনের শাসনের পূর্ববর্তী যুগে ফিরে যাব।





1 টি মন্তব্য:

  1. সত্যি গো, ঠিক কথা, ভিড়ের মধ্যে ই মানুষ যেন বেশী খুশী হয়। বুঝেও কেউ বুঝতে চায় না।

    উত্তরমুছুন