মোট পৃষ্ঠাদর্শন

রবিবার, ৩ মে, ২০২০

সত্যজিৎ রায় ১০০

১০০ বছর পার অনেকখানি সময় চলে গেছে , বদলেছে প্রেক্ষাপট। বিগত শতাব্দীতে স্বাধীনতা আন্দোলন, বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা, দেশভাগ, স্বাধীনতা, গণ আন্দোলন, বিজ্ঞানের জয়যাত্রা আমাদের দেশ, সমাজকে নিয়ে গেছে নানা ঘূর্ণাবর্তের মধ্যে দিয়ে। সময়ের এই কঠিন মন্থন আমাদের থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছিল ঠিকই তবে সৃষ্টি করেছিল কিছু অমূল্য মানব রত্ন। সত্যজিৎ রায় এমনই এক অমূল্য মানব রত্ন। আজ ২রা মে তাঁর শততম জন্মদিন, এই পণ্য সর্বস্ব, মনন চর্চার দৈন্যতার সময়কালে তাঁর রেখে যাওয়া মেধা চর্চা, সৃষ্টিশীলতার উত্তরাধিকারকে ফিরে দেখতে ইচ্ছা হয়। স্বাধীনতা পূর্ব  ইংরেজ শাসনাধীন ভারতবর্ষে প্রায় দুশতাব্দী প্রগতিশীল ভারতীয়রা সমাজ, রাজনীতি, ধর্ম, শিক্ষা, সংস্কৃতিতে  সংস্কারের মধ্য দিয়ে যে মুক্ত চিন্তার দেশ গড়তে চেয়েছিলেন  সত্যজিৎ ছিলেন সেই সাধনার উত্তরসূরি।আজ আমরা যখন চিন্তা করতে, প্রশ্ন করতে ভুলে যাচ্ছি তখন সত্যজিৎ-এর হীরক রাজার দেশের মগজ ধোলাই যন্ত্রের কথা মনে পড়ে। রবীন্দ্রনাথের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার বহন করে রক্তকরবীর বার্তা নূতন করে তিনি বললেন হীরক রাজার দেশে চলচ্চিত্রে। গুপী গাইন বাঘা বাইন গাইল 'নহি যন্ত্র, আমি প্রানী'। তাঁর সমস্ত সৃষ্টিতে তিনি মানব দরদী। সাহিত্যিক সত্যজিৎ আমাদের শৈশবকে অন্য রঙে রাঙিয়ে ছিলেন। আগুন্তুকের সাত্যকির মতো শিখেছিলাম কখনো কূপমন্ডুক হব না। বিশ্বজনীনতার এক অন্য ভাষা শিখেছিল আমাদের প্রজন্ম। কিন্তু আজ প্রতি মূহূর্তে মনে হয় সত্যজিৎ-এর সৃৃৃষ্টির সেই মূল্যবোধ আজকেের 'আমাকেে দেখুন' সমাজে কোথায় যেন হারিয়ে  গেছে। আমরা কী সন্ধান পাব সেই হারানো মানিকের?
[আলোকচিত্রটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন